Tuesday 22 October 2019

কৌরবে প্রকাশিত সরোজ দত্তের কয়েকটা চিঠি


তিনি সরোজ দত্ত। এককালের বামপন্থী কবি, সাহিত্যিক, বিপ্লবী, রাজনৈতিক বন্দী।

কৌরব পত্রিকার প্রকাশক ও সংকলক দেবজ্যোতি দত্ত ছিলেন সরোজ দত্তের ভাইপো।  ১৯৪৩ থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে আত্মীয় পরিজনদের লেখা কয়েকটা দুস্প্রাপ্য চিঠি তাঁর মৃত্যুর অনেক পরে প্রকাশিত হয়েছিল কৌরব পত্রিকার ৪৫ সংখ্যায়, যার প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন কবি বিনয় মজুমদার।

সেইসব চিঠি এতকাল পরে আজকের পাঠকের জন্য, এইখানে।

















---------------------- ০ ----------------------









Friday 4 October 2019

সন্তোষ কুমার ঘোষের সাথে চাইবাসায়

সেটা ছিল ১৯৭৮ সাল। তারপর চল্লিশটা বছর পার হয়ে গেছে।  প্রয়াত সাহিত্যিক সন্তোষ কুমার ঘোষের সাথে চাইবাসায় সেদিনের আড্ডায় ছিলেন হাংরিয়ালিস্ট কবি সমীর রায়চৌধুরী ও কৌরবের কবি কমল চক্রবর্তী। সঙ্গে দুজন স্থানীয় তরুণ। -এর অনুলিপি পরে প্রকাশিত হয়েছিল কৌরব পত্রিকার ৪৫ সংখ্যায়।  যেকোনও সাহিত্যপত্রিকার কাছে ঈর্ষণীয় এমন একটি আলাপচারিতা, যা আজও মূল্যবান। 

                                                           -------------------------















--------------------------








Tuesday 11 June 2019

Ah Those Tricycles !


আহ দোজ ট্রাইসাইক্‌ল্‌স !

সেই ছিল আমার ন্যারেটিভ-ভাঙা পরীক্ষামূলক প্রথম গদ্য-- ‘আহ্‌ দোজ ট্রাইসাইক্‌ল্‌স’, যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮১ সালে, কৌরব-৩১ পত্রিকায়। যা পড়ে কৌরবের পাঠক নাকি চঞ্চল, বিস্মিত ও স্তম্ভিত হয়েছিলেন। সম্পাদক জানিয়েছিলেন লেখাটি নাকি 'শৈলীতে মঙ্গলগ্রহের'
এর পরে, কৌরব সম্পাদিত অন্য গল্প সংকলননামক বইয়ে লেখাটিকে স্থান দেওয়া হয়েছিল সূচীপত্রে দ্বিতীয় স্থানে ; পরম শ্রদ্ধ্বেয় দুই সাহিত্যিক গৌরকিশোর ঘোষ ও অমিয়ভূষণ মজুমদারের রচনার মাঝখানে। বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন শ্রদ্ধেয় প্রাবন্ধিক শিবনারায়ণ রায়। আমার দুর্বল ও প্রথম পরীক্ষামূলক লেখাটিকে গুণীজনের সমক্ষে বেয়াব্রু করে এভাবে বসিয়ে দেওয়াতে আমি যার-পর-নাই লজ্জিত হয়ে পড়ি।
উপরোক্ত সংকলন ছাড়াও, এই লেখাটি কৌরবে মোট তিনবার প্রকাশিত হয়েছিল, ১৯৮১, ১৯৮৯ এবং ১৯৯৬ সালে। কেন, জানি না। লেখাটি নিয়ে আমার নানারকম সন্দেহ হয়েছিল।
তার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর কেটে গেছে। এই পরিসরে লেখাটি নিয়ে আর কোনও সম্পাদক বা প্রাবন্ধিকের কোনও উল্লেখমাত্র কোথাও না পেয়ে আমি লেখাটিকে মঙ্গল গ্রহের লাল মাটিতেই মনে মনে বিসর্জন দিই।
সম্প্রতি আমেরিকার নাসা-র একটি প্রস্তাবে আকৃষ্ট হয়ে আমি তাঁদের সাথে যোগাযোগ করি, ও আমার লেখাটিকে মঙ্গলগ্রহে ফেরৎ পাঠানো সম্ভব কিনা প্রশ্ন করি ; কারণ বিশ্বের আর কোনও পরীক্ষামূলক লেখাকে কেউ এভাবে গ্রহান্তরে পাঠিয়েছে বলে শোনা যায়নি এখনও। 
                                   এখানে রইলো আমার লেখা সেই প্রথম গল্পটি। 





Return to Mars :
তো, নাসা-র বদান্যতায় সেই আহ্‌ দোজ ট্রাইসাইকলসশিরোনামটি আগামী বছর জুলাই ২০২০তে মঙ্গলগ্রহে রওনা দিতে চলেছে। আমাকে ওঁরা সেইমতো বোর্ডিং পাস’-ও পাঠিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ, মহাকাশযানে সীট বুক করা হল। মহাকাশযানের একটি চিপের ওপর মাথার চুলের এক হাজার ভাগের একভাগ সূক্ষ্মতায় লেজার রশ্মি দিয়ে লেখা হবে গদ্যের শিরোনামটি, অন্যান্য আরও অনেক নামের সঙ্গে এক পংক্তিতে। মহাকাশযানটি উৎক্ষিপ্ত হবে আমেরিকার কেপ ক্যানাভেরালকেন্দ্র থেকে, এবং সেটি অবতরণ করবে মঙ্গলগ্রহের জেই-জিরো’ (JE Zero ; 18.41*N, 282.38*W) নামের একটি বিশাল বিস্তীর্ণ গহ্বরে, যেমনটা লেখা আছে বোর্ডিং পাস-এ। মঙ্গলের মাটিতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে হবে সেই অবতরণ।
বলা বাহুল্যএই উৎক্ষেপণটি নাসা সরাসরি সম্প্রচার করবেএবং আমিও দেখবো। তার পরে সম্পূর্ণ নতুন একটি কলমে আবারও একটি অপাঠ্য গদ্য লিখতে বসবোইচ্ছা করি। ...দুয়েকটি গ্রহ আমি ঘোরালাম সামান্য লেখাকে !




                                             -------- ০০ ---------





















Monday 6 May 2019

'Govir Mallika'- the black hole in the centre of our Milky Way galaxy

< From my Face Book Post, 18 Apr.2019, 12.29 AM >
https://www.facebook.com/shankar.lahiri/videos/2283667415032472/?t=0


ছায়াপথের কৃষ্ণগহ্বর : গভীর মল্লিকা

আমাদের সৌরজগত যে আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যে বিরাজ করছে, তার কেন্দ্রে আছে এক বিশাল ব্ল্যাকহোল, যার নাম 'স্যাগিটারিয়াস এ-স্টার' (Sagittarius A*)। বাংলায় এর নাম দেওয়া হয়েছে-- 'গভীর মল্লিকা'। এই শব্দবন্ধটি আমি নিয়েছি তরুণ কবি অরিত্র সান্যালের কবিতা থেকে। একে zoom করে কালো বক্সের মধ্যে দেখানো হয়েছে। তবে এখন সে অনেকটাই নিস্ক্রিয়। এর আশেপাশে আছে ছোট ছোট একগুচ্ছ ব্ল্যাকহোল।
তো, পৃথিবী থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এই 'গভীর মল্লিকা' (Govir Mallika) কৃষ্ণগহ্বরের কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসছে নীলাভ দ্যুতির তীব্র রঞ্জনরশ্মি বা এক্সরে। মহাকাশের এই জীবন্ত ছবি তুলেছে নাসা-র 'চন্দ্র এক্সরে টেলিস্কোপ' (Chandra X-ray Telescope)*।



[*নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রমানিয়ান চন্দ্রশেখরের নামাঙ্কিত নাসার এই এক্সরে টেলিস্কোপ মহাকাশে প্রদক্ষিণ করছে। সেখান থেকেই তুলেছে এই ছবি।]

To all poets:
The massive blackhole 'Sagittarius A-star' sitting in the centre of our Milkyway galaxy has been named today 'govir mallika' (govir means deep, and Mallika is the name of a flower) in Bengali. I have picked up the coinage from a poem written by Aritra Sanyal.