কৈশোরে পড়েছিলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই লেখাটা। বাংলা সাহিত্যে, কবিতার ভাষায় শব্দ বাঁকানো-চোরানোর খেলা কতো দূর চলে যেতে পারে সেই প্রেক্ষিতে তাঁর এই বাচস্পতি মশায়ের গল্প। রবীন্দ্রনাথের ‘অদ্ভুত-রত্নাকর’ সভার তিনিই ছিলেন পয়লা নম্বর পণ্ডিত, যিনি পড়াশুনো করেছিলেন বিস্তর, আর তাতে মনের তলা পর্যন্ত গিয়েছিল ঘুলিয়ে। তিনি শব্দার্থের বাঁধন খুলে ও শব্দের ফোনেটিক্স নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে একেবারে গোড়াগুড়ি একটা ভাষা বানিয়ে ফেলেছিলেন, যা ছিলো অভিধানের আঁচল-ছাড়া।
গল্পের শেষে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘বাচস্পতি আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে সভাপতির ভাষা এতদিনে ওঁদের মুখবুদবুদি শব্দে রঝম গঝম করে উঠত।’
অনেকেই হয়তো লেখাটা আগে পড়েননি। এই লেখার পর দীর্ঘ ৭১বছর কেটে গেছে, কিন্তু বাচস্পতি কি সত্যিই মারা গেছেন ? আজও যে টের পাওয়া যায় তাঁর ‘হাব্বারফ্লুয়াস ইনফ্যাচুফুয়েশন’!
- শংকর লাহিড়ী ।