কখনো দেখিনি তাঁকে, কিন্তু মনে থাকবে, হাওয়ার গাড়ি – ঘুঘুমারি থেকে লেখা পাঠাতেন কৌরবে। তাঁর একটা কবিতা এখানে উদ্ধৃত করলাম কৌরব- ৩৫ (১৯৮২) থেকে।
আচ্ছন্ন ঢেউয়ের সাথে মেতে উঠি আমি
ঝিনুক ও নুড়ির কাছে যাই – জলের যোনিতে
বারান্দায় বয়ে আনা হয় তাকে - এলোমেলো শাড়ি
বিশৃঙ্খল রেখাগুলি অভ্যন্তর থেকে ভেঙ্গে পড়ে ...
ঝিনুক ও নুড়ির কাছে যাই – জলের যোনিতে
বারান্দায় বয়ে আনা হয় তাকে - এলোমেলো শাড়ি
বিশৃঙ্খল রেখাগুলি অভ্যন্তর থেকে ভেঙ্গে পড়ে ...
কেউ এসে পেটিকোট খুলে দিয়েছিল
ফলের শাঁসের মত বুক - হাঁটু গেড়ে স্পর্শ করি
হাতের তালুতে, ত্রিপুরার অচেনা শহরে আমি
মদ নিয়ে বসি অন্ধদের সাথে, ঘুরে ফিরে একই গান
ফলের শাঁসের মত বুক - হাঁটু গেড়ে স্পর্শ করি
হাতের তালুতে, ত্রিপুরার অচেনা শহরে আমি
মদ নিয়ে বসি অন্ধদের সাথে, ঘুরে ফিরে একই গান
একই অন্ধ গান টুকরো টুকরো কোরে গাওয়া হয়
একই শবের ভেলায় উঠে বসি, নীচে থেকে
আরও হাত উঠে আসে, ‘আমাকেও তুলে নাও...’
এই যে উলঙ্গ হয়ে বসে আছি আরও এক মগ্নতার
ভয়ংকর বুকে, শূন্যতার ভিন্ন এক স্তরে গিয়ে – জানি
ঝুলে থাকা হাত তার উঠে বসে, আমাকে জড়াবে ...
একই শবের ভেলায় উঠে বসি, নীচে থেকে
আরও হাত উঠে আসে, ‘আমাকেও তুলে নাও...’
এই যে উলঙ্গ হয়ে বসে আছি আরও এক মগ্নতার
ভয়ংকর বুকে, শূন্যতার ভিন্ন এক স্তরে গিয়ে – জানি
ঝুলে থাকা হাত তার উঠে বসে, আমাকে জড়াবে ...
No comments:
Post a Comment