Tuesday 11 October 2011

পূজোর দিনগুলোয় আমার কবিসঙ্গ

এই সময়ে কেমন আছেন, কী ভাবছেন কৌরবের হার্ড-কোর কবিরা ? 
-------------------------------------------



কবি স্বদেশ সেনের সাম্প্রতিক এই সাক্ষাৎকারটি  আমার ব্লগে প্রকাশিত হওয়ায় অনেকে দুঃখ পেয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। কেউ আবার সন্দেহ করেছেন ওটা সত্যিই স্বদেশ সেনের মতামত কিনা। প্রসঙ্গত, লেখাটি ব্লগে দেওয়ার আগে স্বদেশ সেনকে পাঠ করে শোনানো এবং পরে তাঁর হাতে এর সম্পূর্ণ প্রিন্টাউট তুলে দেওয়া হয়েছিলো।
কাউকে দুঃখ দেওয়া নয়, বাংলা কবিতার সাম্প্রতিক ‘যাচ্ছেতাই’ অবস্থা দেখে তরুণদের নির্ভয়ে ভেবে দেখার ও নিরপেক্ষ ভাবনা চিন্তা করার কথাই বলতে চেয়েছিলেন স্বদেশ সেন। সাক্ষাৎকারটির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া শুনে  তিনি আমায়  জানিয়েছেন যে এই বিষয়ে সাম্প্রতিক কালে অনেকেই লিখেছেন, এবং এনিয়ে কাউকে দুঃখ না দিয়েও একটু সুস্থ হলে নিজেই এবারে একটা লেখা তৈরি করবেন।  
তবুও লেখাটি নিয়ে আমার প্রিয়জনদের দুঃখবোধ, এবং একজন সম্পূর্ণ অপিরিচত মানুষও এব্যাপারে আমার উদ্দেশ্য নিয়ে কুৎসা করতে উদ্যোগী হয়েছেন দেখে লেখাটা আমি ব্লগ থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত মনে করেছি। - মনে পড়ছে, কৌরবের স্বর্ণযুগেও একটা সাক্ষাৎকার ছাপার জন্য কবি কমল চক্রবর্তীকে বইমেলায় আক্রান্ত হতে হয়েছিলো। যদিও সে লেখার মর্ম ও প্রেক্ষিত ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
জীবনে কাজ করার সুযোগ অফুরন্ত, কিন্তু সময়ের সীমা বেঁধে দেওয়া থাকে। তারাশংকরের ‘কবি’ তাই বলেছিলেন ‘জীবন এতো ছোট কেনে!’ সময়ের ভারী রোড রোলারের নীচে হীরকখন্ড ছাড়া আর সমস্তই গুঁড়িয়ে যায়। তাই এসব নিয়ে বেশি তাত্ত্বিক মতামত আমাকে টানে না। -বাংলা কবিতা নানান দেওয়ানেওয়ার মধ্যে দিয়ে নিশ্চিত পৌঁছে যাবে তার অবধারিত পরিণতির দিকে, আমি জানি।    
আমি নিজে প্রিয়জনের আনন্দ-বেদনাকে, জীবনকে, এবং সর্বোপরি নিজের কাজের  উত্তরণ চাওয়াকে অনেক বেশি মুল্যবান মনে করি। ‘পুজোর দিনগুলোয় আমার কবিসঙ্গ’ লেখাটি তাই, কবি স্বদেশ সেনকে জানিয়ে, আমার ব্লগ থেকে তুলে নিলাম।      
   
শংকর লাহিড়ী।

No comments:

Post a Comment